৩.৪. দেশের ব্রডব্যান্ড কমিশন

Surround yourself with the best people you can find, delegate authority, and don’t interfere as long as the policy you’ve decided upon is being carried out.

-- Ronald Reagan

প্রয়োজন নীতিমালার। ব্যবস্যাবান্ধব নীতিমালা তো পরে। সরকারী অফিসগুলোতে অনেককিছুই মুখে মুখে। জিনিসগুলো লেখা না থাকার ফলে এগুচ্ছে না কিছুই। আবার ‘উনি’ ছুটিতে থাকলে হবে না কাজ। লিখিত প্রসেস না থাকলে যা হয় আর কি। ‘সিটিজেন চার্টার’ দিয়ে এগিয়েছে দেশ। তবে, সেটার গতি বেশ স্লথ। ভাবছিলাম, লিখবো না নীতিমালা নিয়ে। অন্ততঃ এই বইটাতে। কারণ লেখালিখিতে আমরা বেশ দুর্বল। একারণে, বাংলায় কনটেন্ট আশ্চর্যরকম ভাবে কম। লেখালিখির ছাড়া অন্য দিক দিয়ে কিছু করা যায় না? ভুলে জিগ্যেস করেছিলাম বাইরের এক কনসালটেন্টকে। নামকরা কোম্পানির হয়ে লিখে দেন নীতিমালা – অনেক দেশকেই। বয়স্ক বলে স্নেহ করেন আমাকে। কিন্তু রাগটা লুকিয়ে রাখতে পারলেন না বলে মনে হলো।

আচ্ছা, তোমার দেশ কি চায় সেটা লিখবে না তুমি? সেটার জন্য টাইমলাইনটা গুরত্বপূর্ণ বটে।

লেখা আছে ওটা। বললাম আমি।

ভালো কথা, কিভাবে করবে সেটার অ্যাকশন পয়েন্ট – আর কারা কি কি করবে মানে মন্ত্রনালয়ের মধ্যে কাজের ডিস্ট্রিবিউশন ঠিক না থাকলে কাজ বের করা মুশকিল। থামলেন উনি।

তোমাদের মতো দেশে ব্রডব্যান্ড এজেন্সী লাগবে প্রধানমন্ত্রীর অফিসে। মন্ত্রনালয়গুলোর সমন্বয় করবে ওই অফিসের পেটে বসে। সোজা কথায় – খবরদারি। এক মন্ত্রনালয় সময়ের মধ্যে কাজ না বের করতে পারলে এটার সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে আটকে না যায় তার প্ল্যান ‘বি’ তৈরী করা থাকবে আগেই। লিড আর সহযোগী মন্ত্রনালয়গুলো ঠিকমতো সিনক্রোনাইজড না থাকলে টাকা গচ্চা যাবার সম্ভাবনা বেশি। ইন্টার-ডিপেন্ডেন্ট কাজে টাইমলাইন না মানলে একজনের কাজ হয়ে গেলেও বসে থাকতে হয় অন্যরা কাজে গাফিলতি করলে। আর, টাইম ইজ মানি!

ধরুন আমাদের টেলিকম পলিসি তৈরী হয়েছে ১৯৯৮ সালে। এটা এতো ডাইনামিক ফিল্ড যে এর মধ্যে এটাকে আপডেট করা যেতো বার কয়েক। নীতিনির্ধারকরা না লেখলে লেখবে কে? তখন লিখতে হবে আমাদেরকেই। দেশতো সবার। সরকার এটা করে না ওটা করেনা বলেতো পার পাবো না আমরা কেউ। আমরাই দেশ। আপনি মানবেন – পৃথিবীর সবচেয়ে সহজ কাজ হচ্ছে আরেকজনকে দোষারোপ করা। সবচেয়ে কঠিন হচ্ছে আসলে কাজটা করা।

Last updated

Was this helpful?