৫.২. কনটেন্ট ইজ দ্য কিং!

The only people who can resist a quick fix are those that are not addicts.

-- Gerald Weinberg

আচ্ছা, ইন্টারনেটের কাঁচামাল কি? ঠিক বলেছেন – কনটেন্ট। এটাই হচ্ছে আমাদের প্রথম ‘দাম কমানো’র টুল। তাহলে পয়সা দিচ্ছি কিসের জন্য? সংযোগ মানে ওই পাইপটার দাম হিসেবে। দুরের কনটেন্টের জন্য আনার খরচ বেশি। আর দেশে থাকলে, দাম পানির মতো। কনটেন্ট আছে কোথায়? তার আগে জিজ্ঞাসা করা উচিত ছিলো আরেকটা জিনিস। আমাদের এই ইকোসিস্টেমে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশটার কথা বলিনি আমরা। গ্রাহক কি চান? জি, আপনাকে বলছি। আপনি কি কাজে ব্যবহার করছেন ইন্টারনেট? ফেইসবুক? সার্চ ইঞ্জিন? গুগল সার্ভিসেস? ওয়েববেসড ইমেইল? খবরের কাগজ পড়া? ফেইসবুক আছে কোথায়? মানে যা যা বললেন সেই কনটেন্ট আছে কোথায়?

সব দেশের বাইরে। আপনার উত্তর। গুগল.কম.বিডি ও বাইরে। তো সংযোগের দামতো গুনতেই হবে আমাদের। আপনার বন্ধুদের নব্বই শতাংশ সবাই থাকেন বাংলাদেশে। আপনিও তাই। ফেইসবুকের বিলিয়ন কনটেন্ট আপডেট হচ্ছে বাংলাদেশ থেকে। কোটি ছবি হচ্ছে আপলোড। বাংলাদেশ থেকে দেশের বাইরে। ঠিক তো? আর দেখছে কারা? আমরাই। আমরা আছি কোথায়? বাংলাদেশে। বাংলাদেশ থেকে কনটেন্ট আপলোড হচ্ছে বাইরে। আবার ডাউনলোড করছি বাংলাদেশে, দেশের বাইরে থেকে। এটাতো হতে পারে না কোন এফিসিয়েন্ট মডেল। খবরের কাগজের একই অবস্থা। অধিকাংশ পাঠক থাকে বাংলাদেশে। খবরের কাগজের কনটেন্ট তৈরী হচ্ছে বাংলাদেশে। অথচঃ পড়তে হচ্ছে সাত সমুদ্দুর পাড়ি দিয়ে। অনেক দাম দিয়ে ইন্টারনেটের পাইপ কিনে। কমবে কিভাবে ইন্টারনেটের দাম? বলুন আমাকে?

মেইল করছি আপনি আমি। নব্বই শতাংশ মেইলের প্রাপক আছে কিন্তু বাংলাদেশে। তার মানে আমার মেইল কনটেন্ট আর এটাচমেন্ট সবই যাচ্ছে দেশের বাইরে। হয় সান্তা ক্লারা, না হয় আয়ারল্যান্ড অথবা সিঙ্গাপুরে তাদের কনটেন্ট ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্কে। তারপর ফিরে আসছে বন্ধুদের কাছে – সেই দামী ইন্টারনেট পাইপ দিয়ে। ব্যাপারটা এমন, আপনার বাসার ছাদের পানির ট্যাংকটা রেখেছেন আপনার বন্ধুর বাসার ছাদে – যশোরে। আপনি থাকেন ঢাকায়। পয়সা খরচ না করার জায়গা পেয়ে পানি ওঠানো আর নামানোর পাইপ বসিয়েছেন সেই ঢাকা থেকে যশোরে। একই রাস্তায় ফিরতি পাইপটাও।

Last updated

Was this helpful?