৫.৮. রিভার্স সাবসিডি অকশন
রিভার্স সাবসিডি অকশন
In a minimum subsidy auction, the government identifies a project and a maximum subsidy. Companies compete for the project by bidding down the value of the subsidy. The bidder requiring the lowest subsidy wins.
-- FCC Staff Working Paper 2 (Oct 2010)
এখন আসুন আসল প্রশ্নে – কোথা থেকে আসবে টাকা? ‘ক্লু’ হিসেবে আরেকটা টুল নিয়ে আসি এখানে। নাম হচ্ছে ‘রিভার্স সাবসিডি অকশন’। শিখেছিলাম পেরুর একটা ফান্ড ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি থেকে। ফিরে আসি ডোমারের গল্পে। ওই পাঁচশো এমবিপিএস/সেকেন্ড ব্যান্ডউইডথ দিতে হবে পঞ্চাশটা সরকারী স্থাপনায়। একেক স্থাপনায় চার পাঁচটা করে সংযোগ দিলে মোট সংযোগের সংখ্যা দাড়াচ্ছে দেড়শোতে। শুধু ডোমার অথবা পুরো বিভাগ ধরে ‘উল্টো’ সাবসিডির অকশন করবো একটা। যার যতো কম খরচ তাকে দেবো এলাকাটা। না পারলে শক্ত পেনাল্টি!
ধরা যাক আমার হিসেবে ওই দেড়শো সংযোগের জন্য সরকারকে খরচ করতে হবে পঞ্চাশ লক্ষ টাকা। কিন্তু একটা অপারেটর ওই ডোমারের জন্য শুধুমাত্র ওই পাঁচশো এমবিপিএস/সেকেন্ড ব্যান্ডউইডথ নিয়ে থাকবে না বসে। তার ব্যবসার জন্য নেবে আরো এক জিবিপিএস সংযোগ। ফলে দাম কমবে আরো বেশি। আমার অকশনে থাকবে সবাই। বিটিসিএল সহ। ওই দেড়শো সংযোগের জন্য একটা অপারেটরকে কতো ভর্তুকি দিতে হবে সেটাই নির্ধারণ হবে এই অকশনে। সবচেয়ে কম টাকা চাইবে যে অপারেটর তাকে দিয়ে দেয়া হবে এলাকাটা।
ধরা যাক অপারেটর ‘ক’ চাইলো ষাট লক্ষ টাকা। ‘খ’ চাইলো চল্লিশ। ‘গ’ চাইলো আরো কম। অপারেটর ‘ক’ বিড শেষ করে দিলো দশ লক্ষ টাকা চেয়ে। যেহেতু অনেক ব্যান্ডউইডথ একসাথে কিনছে সরকার, কমবে দামও। এছাড়া হাজারো ভ্যালু এডেড সার্ভিস যাবে ওই নেটওয়ার্কের ওপর দিয়ে। দেখা যাবে নিজের অন্যান্য সার্ভিসের সাথে দশ পনেরো বছরের ‘অ্যামোর্টাইজেশন কস্ট’ ধরে সরকারকে দিতে হবে না বেশি ভর্তুকি। বেশি ভলিউম হওয়াতে খুশি অপারেটর। টাকা পাবে এক জায়গা থেকে। খুশি সরকার, তিন চার ভাগের এক ভাগ দিয়ে কিনছে রাষ্ট্রের সার্ভিস।
এই ভর্তুকিটা যাতে সরকারকে না দিতে হয় সেটার ব্যবস্থাও করা হয়েছে দুহাজার নয়ে। মানে সরকারী সংযোগ হবে বিনামূল্যে! পলিসি ড্রাফটিংয়ের সাথে ছিলাম আমিও। তবে মন মতো হয়নি পুরোটা। বিশ্বব্যাপী এটাকে বলা হয় ইউনিভার্সাল সার্ভিসেস অবলিগেশন ফান্ড। গুগল করুন ‘ইউএসওএফ’ দিয়ে। নিজের আগ্রহে তিন তিনটা অনলাইন ট্রেনিং করেছিলাম এই ইউনিভার্সাল সার্ভিসেস আর তার ফান্ড ম্যানেজমেন্ট নিয়ে। ভয়ংকর জিনিসটা হচ্ছে ফান্ড ম্যানেজমেন্ট। হতে হবে স্বচ্ছ!
প্রতিটা জনগনের জন্য নিদেনপক্ষে একটা সংযোগ নিশ্চিত করার দ্বায়িত্ব রাষ্ট্রের। সেকারণেই তৈরী করা হয়েছে একটা ফান্ড। এমুহুর্তে এখানে পয়সা দিচ্ছে মোবাইল অপারেটরগুলো। তাদের রেভিনিউয়ের এক শতাংশ যাচ্ছে এই ফান্ডে। মোবাইল অপারেটররা আশা করছেন এই ভর্তুকির পয়সাটা তাদের দিলে কাজ হবে ভালো। তবে, ধীরে ধীরে যোগ হবে বড় বড় সব অপারেটর। তখন অনেক বড় হবে ফান্ড। তবে যে যাই বলুক, ফান্ড খরচ করতে হলে ‘নূন্যতম সাবসিডি অকশন’ ছাড়া টাকাটা কাউকে দিয়ে দিলে ব্যাহত হবে এর মহত্ উদ্দেশ্যটা। দক্ষতার মূল্যায়ন না হবার সম্ভাবনা থাকে বেশি। তাই দেখেছি আশেপাশের দেশে। ভুল থেকেই তো শেখে বুদ্ধিমানরা, তাই নয় কি?
ডিমান্ড এগ্রিগেশনের সবচেয়ে বড় উদাহরন আছে কোরিয়াতে। মারাত্মক টুল! গল্পটাও বিশাল।
Last updated
Was this helpful?